ঘুমন্ত স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর- ঘুমাচ্ছিলেন কিরণী বালা (৪৩)। এমনই সময় তার পেটে ব্লেডের আঁচড় দেন স্বামী। গলগল করে বের হতে থাকে রক্ত। আহত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কিরণীর। স্বামীর এই বর্বরতার কারণ কী? জানা গেছে, স্ত্রী হত্যার পেছনে ছিল শুধুই পরকীয়ার সন্দেহ।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে সুরেশ প্রামাণিক নামের ওই অভিযুক্ত স্বামী এমন কথাই বলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভার কালিকাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।গতকাল শুক্রবার রাতে সুরেশ প্রামানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।
স্বীকারোক্তিতে সুরেশ জানায়, বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে স্বামী-স্ত্রীয় নিজেদের ঘরে শুয়ে পড়েন। এ সময় ধারালো ব্লেড দিয়ে কিরণীর পেটে আঁচড় দেন সুরেশ। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে কিরণীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইট ভাঙ্গার কাজ করতেন কিরণী। স্বামী সুরেশের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন তিনি। সুরেশ প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন অন্যের বাড়িতে। তৃতীয় স্ত্রী কিরণী থাকতেন স্বামীর সঙ্গে। ইট ভাঙা এবং রাজমিস্ত্রির যোগানদারের কাজ করে টাকা আয় করে স্বামীকে দিতেন তিনি।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, সুরেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে।